ভারত চীন থেকে বেরিয়ে আসা এক হাজারেরও বেশি ইউ এস কোম্পানিগুলোকে প্রলুব্ধ করতে চাইছে

ভারত চীন থেকে বেরিয়ে আসা ইউ এস কোম্পানিগুলোকে প্রলুব্ধ করতে চাইছে

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এ ইউ এস বিজনেস কোম্পানিগুলোর মধ্যে  চিকিৎসা ডিভাইস এবং অ্যাবট ল্যাবরেটরিজ সহ আরো অন্য কোম্পানিগুলোকে চীন থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে ।চীন থেকে ইউ এস কোম্পানি আসছে ভারতে মোদি সরকার তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে  যাচ্ছেন ।

কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বেইজিংকে করোনা ভাইরাস মহামারীর জন্য দায়ী করছে আর এদিকে ভারত সেই ইউ এস কোম্পানিগুলোকে নতুন স্থান দেওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করছে ।

সরকার এপ্রিল মাসে এক হাজারেরও বেশি ইউ এস কোম্পানিকে বিদেশি মিশনের দ্বারা  চীন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য উৎপাদকদের ইন্সেন্টিভ দেয়ার প্রস্তাব দিলেন ।

ভারত চীন থেকে বেরিয়ে আসা ইউ এস কোম্পানিগুলোকে প্রলুব্ধ করতে চাইছে ।সেজন্য চীন থেকে ইউ এস কোম্পানি  গুলোকে সরিয়ে ভারতে নিয়ে আসছে বলে শোনা যাচ্ছে।

ভারত সরকার চিকিত্সা সরঞ্জাম সরবরাহকারী দের অগ্রাধিকার দেওয়া, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ,টেক্সটাইলস ,চামড়া এবং অটো নির্মাণ সহ পাঁচশ পঞ্চাশ টি প্রডাক্ট আলোচনায় রেখেছে । প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীন কে দোষারোপ করেছে কোভিদ মহামারীর জন্য যেখানে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষ পুরো বিশ্বে মারা গেছে ।

এতে বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ক খারাপ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে ।কারণ কোম্পানিগুলো এবং সরকার সংস্থানগুলি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি থেকে সরিয়ে অনার চেষ্টা করছে যাতে সরবরাহ শৃঙ্খলা বানানো যায় ।

জাপান পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কারখানার স্থান পরিবর্তন করতে 2 কোটি কুড়ি লক্ষ ডলার ব্যয় করেছে । যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মেম্বাররা চীন এর সাপ্লাই চেইন দের কাছ থেকে নির্ভরতা কাটানোর ব্যবস্থা করছে ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইনভেস্টমেন্ট ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থার ক্ষতিপূরণ করতে অনেকটা সাহায্য করবে । মেনুফেকচারিং সেক্টর বৃদ্ধি জাতীয় প্রডাক্ট পনের শতাংশ থেকে পঁচিশ শতাংশ বৃদ্ধির পরিকল্পনা চলছে দুই হাজার বাইশ পর্যন্ত 

চাকরির পরিমাণ বাড়ানোর দরকার এখন খুব বেশি হবে যেখানে একশ বাইশ লক্ষ লোক বেকার হয়েছে । 

এখানে ভারতের জন্য অপরচুনিটি আছে গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনে স্থান অর্জন করা যেখানে দরকার একটা ভালো পরিকল্পনা এবং ইনভেস্টমেন্ট যেখানে ভারত পার্শ্ববর্তী উত্তর এবং উত্তর পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করছে ।

অধিকারীরা বলেছেন ভারত অর্থনৈতিক দিকে জমি বাঁচানো এবং শ্রম বিনিয়োগে সক্ষম । যদি কোম্পানিগুলো  ভিয়েতনাম এবং জাপানে যায় তাহলে ইনভেসমেন্ট চীন থেকে বেশি হবে ।

এখানে ভারত আরেকটি আশ্বাস প্রস্তাব দিয়েছে  যেমন শ্রমিক আইন চেঞ্জ করার যাতে কোম্পানিতে বড় অসুবিধা সমাধান হয়ে যায় । ই-কমার্স কোম্পানিগুলো থেকে যে অনুরোধএসেছে সেটাও গভমেন্ট এই বছরের বাজেটে ডিজিটাল লেনদেন  হিসেবে চালু  করেছে ।

ভারত চীন থেকে বেরিয়ে আসা এক হাজারেরও বেশি ইউ এস কোম্পানিগুলোকে প্রলুব্ধ করতে চাইছে

কর ,শ্রমিক আইন:

ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী ইউএসএ কোম্পানিগুলো থেকে ফিডব্যাক নিয়েছেন যে দেশের কর এবং শ্রমিক আইন এর কি কি পরিবর্তন করা যাবে, যাতে কোম্পানির পক্ষে উপযুক্ত হয় ।

মোদির যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার রাজ্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে যে কি করে জমি ডেভলপ করা যাবে এবং ব্যাংক ও যাতে প্রত্যেক ইউনিটের সাথে কাজ শুরু করে । 

ইতিমধ্যে আশা করা যাচ্ছে ভারত ইউএস কোম্পানিগুলো প্রধানত হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট এবং ডিভাইস কোম্পানিগুলো কে জয়ী করতে পারবে ।

কারণ মেডট্রনিক পিএলসি এবং অ্যাবট ল্যাবরেটরিজ সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছে যাতে দেশে তাদের ইউনিট স্থানান্তরিত করা  হয়.কারণ এই দুটোই কম্পানি মহানগরী মুম্বাইতে বর্তমান আছে সুতরাং  চীন থেকে সাপ্লাই চেইন স্থানান্তরিত করতে বেশি সময় লাগবে না কারণ এই দুটো কোম্পানি ভারতের বড় হসপিটাল গ্রুপের সাথে কাজ করে চলছে ।

যেখানে অন্য দেশগুলো ভারত ছাড়া ভিয়েতনাম কান্ট্রি কে  নির্ণয় করে নিয়েছিল কোম্পানি স্থানান্তরিত করার, সেখানে মোদি সরকারের চেষ্টায় কর্পোরেট ট্যাক্স কাটার পর ইউএস গভমেন্ট এর সাথে আরো ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে । যেখানে মোদি সরকার কিছুদিন আগে বোস্টন শহরে এবং ট্রাম্প ভারতে এসে তিন কোটি ডলার ডিফেন্স লেনদেন ব্যবস্থা হয়েছে ।

 রাষ্ট্র সচিব মাইকেল পম্পেও গত মাসে বলেছেন ইউ এস এখন ভারত, অস্ট্রেলিয়া ,জাপান ,নিউজিল্যান্ড ,সাউথ কোরিয়া এবং ভিয়েতনাম  এর সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছে যে কি করে সাপ্লাই চেইন রক্ষা করা যায় যাতে ভবিষ্যতে এরকম কোন পরিস্থিতির না জন্মায় ।

কারণ প্রশাসন চীন থেকে সাপ্লাই চেইন সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে । একজন অধিকারী  বললেন অর্থনৈতিক গ্রোথ হতে চলছে বিশ্বস্ত পার্টনারদের সঙ্গে ।

ইন্ডিয়ান এক্সপোর্টার  ফেডারেশনের ডাইরেক্টর জেনারেল এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অজয় সাহাই বললেন “ভারত ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়া থেকে বড় মার্কেট যেখানে ইনভেস্টর চীন থেকে অপারেশন সরিয়ে আনতে চাইবে” । ইতিমধ্যে ট্রাম্প  একশ ত্রিশ কোটি টাকার হাইড্রোক্সিলোক্লোইন এবং প্যারাসিটামল সহ মেডিকেল উপকরণ পাঠানোর অনুরোধ করেছে ।

ভারতের কিছু রাজ্য যেমন মহারাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে লকডাউন এর মধ্যেও সাপ্লাই চেইন  বিদেশি ম্যানুফ্যাকচারার দের জন্য ফাংশনাল থাকবে । অন্যদের মধ্যে তামিলনাড়ু এবং উত্তর প্রদেশ  ও নিশ্চিতি দিয়েছে বিদেশি ম্যানুফ্যাকচারার দের জন্য ফাংশনাল  রাখতে । 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *