রানী মুখার্জি অভিষেক বচ্চন সম্পর্কে বললেন কেন উপস্থিত ছিলেন না অভিষেক এবংঐশ্বরিয়া রায় এর বিয়েতে

 রানী মুখার্জি অভিষেক বচ্চন সম্পর্কে বললেন যে তিনি কেন উপস্থিত ছিলেন না অভিষেক এবংঐশ্বরিয়া রায় এর বিয়েতে ।অনেকে  বললেন কারণ হতে পারে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে উনার প্রেম সম্পর্ক ।

 বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী রানী মুখার্জি অভিষেক বচ্চন এবংঐশ্বরিয়া রায়ের বিয়েতে উপস্থিত না থাকার কারণটি প্রকাশ করলেন ।

দুই হাজার সাত সালে অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বরিয়া রায়ের বিয়েতে রানী মুখার্জির অনুপস্থিতি অনেকেরই চোখে আসে । কিছু বছর পরে একটি ইন্টারভিউ তে রানী মুখার্জি অভিষেক বচ্চন সম্পর্কে বললেন ,উনি সে ব্যাপারে রিয়েক্ট  করলেন । 

অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বরিয়া রায়ের বিয়েটি খুব ধুমধাম করে হয়েছিল সেটা চলচ্চিত্র জগতের মধ্যে ছিল একটি বড় বিয়ে ।যেটা চলচ্চিত্র জগতের একটা বড় প্রেম সম্পর্ক ছিল যা বিয়েতে পরিণত হয়েছিল ।সেখানে সব বিখ্যাত অভিনেতা এবং অভিনেত্রী সহ অনেকে অংশগ্রহণ করে।

রানী মুখার্জি অভিষেক বচ্চন সম্পর্কে বললেন 

সেখানে রানী মুখার্জির অনুপস্থিতি অনেকের মনেই হৈচৈ সৃষ্টি করে । সেখানে কেউ কেউ  অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে উনার প্রেম সম্পর্ক নিয়ে আর কেউ ঐশ্বরিয়ার সাথে ঠান্ডা যুদ্ধ কে দায়ী করে ।  যারা সেটা জানে না, রানী মুখার্জি দুই হাজার তিন সালে চলতে চলতে মুভি তে ঐশ্বরিয়া রায় কে স্থানান্তরিত করে সেই মুভিতে  অভিনয় করেন । তার কারণে  এককালের খুব ঘনিষ্ঠ  বন্ধুত্ব সত্বেও তারা দুজন একে অপরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন ।

অনেক বছর পরে একটি ইন্টারভিউ তে যখন রানী কে জিজ্ঞাসা করা হল অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার বিয়েতে অনুপস্থিতির বিষয় নিয়ে তখন তিনি সরাসরি উত্তর দিলেন যে সেটা তার বদলে অভিষেককে জিজ্ঞেস করার জন্য । তিনি আরো বললেন সেটা  এটাই প্রমাণিত করে যে ওদের জীবনে রানী মুখার্জি কতটুকু গুরুত্ব , এবং তিনি এত বছর বন্ধুত্ব সম্পর্কে ভুল বুঝে গিয়েছিলেন এবং বন্ধুত্ব জিনিসটা শুধু প্রফেশনাল রিলেশনশিপ এর মধ্যেই আবদ্ধ থাকে।

উনি আরো বললেন “ শুধুমাত্র অভিশেক এই কথাটার উত্তর দিতে পারে । জিনিসটা হল যখন কোন মানুষ ঠিক করে যে  কোন একজন কে বিয়েতে  আমন্ত্রণ করবে না তাহলে বুঝতেই  পারা যায়  যে কি ওই ব্যক্তির জীবনে তোমার কতটুকু গুরুত্ব ।  সেটা হয়তো মনে হতে পারে যে আমরা বন্ধু কিন্তু আসল জীবনে বন্ধুরা শুধুমাত্র  সহ-অভিনেতা হিসেবে থেকে যায়। এটা কোন ম্যাটার করে না তাতে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে আমরা শুধু সহ অভিনেতা-অভিনেত্রী ছিলাম বন্ধু নয় ।

তারপর বিয়েতে কাউকে আমন্ত্রণ করা সেটা ব্যক্তিগত অভিরুচি ।  কালকে যদি আমি বিয়ে করি এবং আমি চাই কিছু কাছের মানুষকে শুধু আমন্ত্রণ করার সেটা হতেই পারে ।   ওর বিয়ে হয়ে অনেক বছর হয়ে গেছে সুতরাং আমাদেরকে ওই জিনিসটা  থেকে বেরিয়ে আসা উচিত । আমার সর্বদাই একটা ভালো স্মৃতি থাকবে ওর সাথে  সহ-অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করার ।” 

সেই  ইন্টারভিউতে  উনি জানালেন  যে উনার ঐশ্বরিয়া রায়ের সাথে কোন মনোমালিন্য নেই এবং উনি ঐশ্বরিয়া রায়ের সম্পর্কে ভালো কামনা করেন।  ওরা যখন একে অপরের সম্মুখিত হয় তখন একে অপরকে অভিনন্দন করে।  উনি আরো বলেন  যে ঐশ্বরিয়া রায় উনার সময়ের একটি বড় অভিনেত্রী ছিলেন ।

যদিও ওরা একে অপরের সম্পর্কে ভালো কামনা করেন তবু তারাটা  একটা দূরত্ব বজায়  রাখাটা কে ভালো মনে করেন । এরা একে অপরের সামনে  তখনই আসে যখন কোন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পার্টি হয় আর তাছাড়া কিছু অনুষ্ঠানে ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *