Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
২৭ নভেম্বর ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয় ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’র লেখক অভিষেক মাকওয়ানার ,মাত্র ৩৭ বছর বয়স ছিল অভিষেক মাকওয়ানার।
দেনার দায়ে আত্মঘাতী ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’র লেখক সাব টিভি র জনপ্রিয় শো ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ (Taarak Mehta Ka Ooltah Chashmah)-র লেখক অভিষেক মাকওয়ানা গত সপ্তাহে আত্মঘাতী হয়েছেন। পরিবারের দাবি দেনা, ব্ল্যাকমেল এর শিকার হয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
দেনার দায়ে আত্মঘাতী ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’র লেখক। টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে ২০২০ র শেষে আবার খারাপ খবর এসেছে,জনপ্রিয় শো ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ সিরিয়ালের লেখক অভিষেক মাকওয়ানা আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যা করার আগে একটি সুইসাইড নোট লিখে রেখেছেন তিনি,যেখানে তিনি জানিয়েছেন আর্থিক সঙ্কটের জেরে তিনি এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। লেখকের পরিবারের তরফে অভিযোগ সাইবার জালিয়াতি এবং ব্ল্যাকমেল এর জন্যই আত্মহত্যা করেছেন অভিষেক। ২৭ নভেম্বর মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে অভিষেকের দেহ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন: একই দিনে একই সময়ে ৪৭ বছরের সম্পর্ক শেষ হল দম্পতির, দুজনেই মারা গেলেন ৪টা ২৩ মিনিটে!
অভিষেকের পরিবারের অভিযোগ সাইবার জালিয়াতির শিকার হয়েছেন লেখক, জানানো হয়েছে জালিয়াতির লোকেরা অভিষেকের মৃত্যুর পরেও ফোন করে হুমকি দিচ্ছে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন যেহেতু ধার নেওয়ার সময় তাদের গ্যারেন্টার করা হয়েছিল তাই অভিষেকের মৃত্যুর পর তাদের থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে।
৩৭ বছরের অভিষেকের দেহ ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন পুলিশ। পরিবারের বয়ান নেওয়ার সময় অভিষেকের ভাই জেনিস জানিয়েছেন, অভিষেকের মৃত্যুর আগে তাঁর আর্থিক সমস্যা নিয়ে অবগত ছিলেন না পরিবারের লোকেরা। মৃত্যুর পর টাকা চেয়ে ফোনে হুমকি আসতে শুরু করলে তারা বুঝতে পারেন সবটা।
এরপর জেনিস জানান তিনি অভিষেকের ইমেল খুলে দেখেন ‘ইজি লোন’ নামক একটি অ্যাপ থেকে ছোট লোন নিয়েছিলেন অভিষেক। যার সুদ অনেক বেশি ছিল। যার জেরে হুমকি দিয়ে যেসব ফোন আসছে সেগুলির কোনওটা বাংলাদেশ, কোনওটা মায়ানমার আবার ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে থেকেও ফোন এসেছে।
অ্যাপ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন অভিষেক
সাইবার জালিয়াতির শিকার হওয়া অভিষেক প্রথমবার ছোট একটি ঋণ নিয়েছিলেন একটি অ্যাপ থেকে, যার সুদ ছিল ৩০ শতাংশেরও বেশি। কিন্তু তার পরেও অভিষেক না চাইলেন একাধিক বার তাকে টাকা পাঠানো হয় ওই অ্যাপ থেকে। অভিষেকের ফোন, ইমেল চেক করে তাঁর ভাই দেখেছেন তাকে ব্ল্যাকমেল করে একাধিক মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। এমনকি অভিষেকের বন্ধুদের ফোনেও এমন মেসেজ পাঠানো হয়েছে বলে জানায় তার ভাই।
প্রমাণ পাওয়া গেলেই শুরু হবে তদন্ত
পুলিশ আধিকারিকের তরফে জানানো হয়েছে সুইসাইড নোট গুজরাটি ভাষায় লেখা। যেখানে ব্যক্তিগত সমস্যার উল্লেখ করেছেন অভিষেক। এমনকি পরিবারের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন অভিষেক। খারাপ অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করেও সমস্যা আরও বেড়ে যাওয়ায় তিনি হেরে গেছেন বলে জানিয়েছেন সুইসাইড নোটে।পুলিশ জানিয়েছেন পরিবারের লোকেদের অভিযোগ যাচাই শুরু হয়েছে। অভিষেকের ব্যাঙ্কের নথি সমস্ত খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এখনও কোনো মজবুত প্রমাণ পুলিশের হাতে আসেনি। কোনো প্রমাণ পেলেই তদন্ত শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।