মায়ানমারের দ্য লেক অফ নো রিটার্ন নামে বিখ্যাত এই হ্রদ। এই হ্রদটিকে পাংসাউ পাস থেকে দেখা যায় যেটি রয়েছে নামপং থেকে 12 কিমি দূরে।
ঐতিহাসিক স্টিলওয়েল রোড নামপং এর মধ্য দিয়ে গিয়ে বার্মা পর্যন্ত নেমে গেছে। দ্য লেক অফ নো রিটার্ন ইন্দো-বার্মা (মিয়ানমার) সীমান্তের থ্রেশহোল্ড। পাংসাউ পাস, ইন্দো-বার্মা (মিয়ানমার) সীমান্ত নামপং থেকে মাত্র 12 কিমি দূরে যেখানে এই পাস থেকে বিখ্যাত লেক অফ নো রিটার্ন দেখা যায়।
ইন্দো-বার্মা পাটকাই পর্বতশ্রেণীর কারণে নামপং এবং পাংসাউ পাসকে “হেল গেট” বা “হেল পাস” হিসাবে জানা যায়। বার্মার দিকে এই স্থানগুলি অতিক্রম করা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নরকের মতো বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়েছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়,”দ্যা হাম্প” এর উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়, চীন-বার্মা-ভারত সীমান্ত সংযোগস্থলে এবং তার আশেপাশে অনেক পরিবহন বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল, মিয়ানমার এ তখন আসাম, ভারত থেকে চীন এবং উত্তর বার্মায় জাপানি বাহিনীর সাথে যুদ্ধরত মিত্রবাহিনীর সৈন্যদের বিমান সরবরাহ করা চলছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অনেক সংখ্যক যুদ্ধবাহি বিমান এই হ্রদে মারা যায়। সম্ভবত, ফিরতি মিশনের সময় যখন এয়ারক্রাফ্ট শত্রুর দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয় বা বিমানে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয় পড়ে তখন হ্রদটি মিত্রবাহিনীর পাইলটদের এই হ্রদের জলে সহজ অবতরণে সাহায্য করেছিল। কিন্তু এখানে সহজ অবতরণ সম্ভব হয়নি সবকটা যুদ্ধবিমান এই হ্রদের জলে মিলিয়ে যায়।
আবার অনেকে বলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অনেক জাপানি সেনা রাস্তা ভুলে এই হ্রদের কাছে এসে পৌঁছায় এবং পরে এখানে আটকে ম্যালেরিয়ায় মারা যায়।
আবার এটাও শোনা যায় ব্রিটিশ সৈন্যদের একটি বাহিনী দ্রুত বালিতে আটকে পড়ে এবং পড়ে এই হ্রদের জলে মিলিয়ে যায়। তাই এই হ্রদটিকে নাম দেওয়া হয়েছে দ্য লেক অফ নো রিটার্ন অথবা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল
স্থানীয়দেরও ভূত সম্পর্কে একটি ভিন্ন গল্প রয়েছে যে তারা কান্নার আওয়াজও শুনেছিল এবং পূর্ণিমার রাতে কাউকে ডাকতে একটি হাত বেরিয়ে আসে কিন্তু আমরা এটি অনুভব না করা পর্যন্ত কেউ বিশ্বাস করতে পারিনা।
নামপং হল মনোরম নৈসর্গিক উপত্যকায় অবস্থিত একটি অদ্ভুত ছোট শহর। জয়রামপুর থেকে নামপং পর্যন্ত সমস্ত পথ দিয়ে প্রকৃতির মনোরম সৌন্দর্য এবং সুন্দর টেরেস চা বাগানের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। শহরটির নিকটবর্তী বার্মা সীমান্ত এটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।এখানে বর্ডারে ট্রেডিং মার্কেট খুলে মাসে মাত্র 3 দিন এবং সেদিন বাজারের সব জিনিসপত্র ভারতীয় এবং মায়ানমারের নাগরিকদের কাছে বিক্রি করা হয় এবং সেই তিন দিনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যথাযথ অনুমতি নিয়ে পাংসাউ পাসে লোকেরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে। সরকার নামপংকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে। নামপং থেকে 20 কিমি দূরে উইনটং-এ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবজারভেটরি পোস্ট দেখতে পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: রান্নাঘরের টাইলস তেল চিটে হয়ে গেছে?যেভাবে ঝকঝকে করবেন
প্রত্যেক বছরই আমরা অনেকেই জীবন বীমা পলিসি কথা শুনে থাকি অথবা আয়কর রিটার্নর সময় ভাবতে … Read More
বিয়ে হয়েছে মাত্র কিছুদিন আগে তারপরেই গর্ভবতী রিচা চাড্ডা, দিওয়ালি লুক দেখে অনেকে সন্দেহ করছে।… Read More
শুভশ্রী গাঙ্গুলী দ্বিতীয়বার প্রেগনেন্ট আপনি যদি প্রতিনিয়তই টলিউড কে ফলো করে থাকেন তাহলে শুভশ্রী গাঙ্গুলী… Read More
আপনি বোধহয় শুনলে অবাক হবেন চলচ্চিত্রে পশু শিল্পীরা যা রোজগার করে তা অনেক বড় বড়… Read More
আপনাদের হয়তো অনেকেরই জানা নেই ঋষি সুনক এর আসল পরিচয়। তিনি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই… Read More
মডেলিং এর সাথে ছোট পর্দায় কাজ করতে করতে বড় পর্দায় নামকরা অভিনেত্রী হয়ে উঠলেন কিন্তু… Read More