শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক রায়,জেল সহ সমস্ত জেরা রুমে থাকবে সিসিটিভি

শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক রায়,জেল সহ সমস্ত জেরা রুমে থাকবে সিসিটিভি

এবার থেকে জেল এবং তদন্তকারী সংস্থার জেরা কক্ষে লাগাতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরা আগামী দেড় মাসের মধ্যে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বলবৎ করতে হবে এই নির্দেশ।

শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক রায়,জেল সহ সমস্ত জেরা রুমে থাকবে সিসিটিভি। নাইট ভিশন এবং অডিও রেকর্ডিং এর সুবিধা যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা শুধুমাত্র জেলেই নয়,সিবিআই, এনঅাইএ, ইডি, এনসিবি, এবং বাকি তদন্তকারী সংস্থার জেরা রুমেও লাগাতে হবে।

শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক রায়,জেল সহ সমস্ত জেরা রুমে থাকবে সিসিটিভি।প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষার্থে জেলের ভেতর বা জেরার সময় সর্বক্ষেত্রেই থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট।

দেশের সব জেল, জেরা রুমে লাগাতে হবে সিসি টিভি ক্যামেরা

লকঅাপে বা জেরার সময় কী কী ঘটনা ঘটছে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ রাখতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেশের সব জেল, জেরা রুমে লাগাতে হবে সিসি টিভি ক্যামেরা, এবং তাতে অবশ্যই নাইট ভিশন প্রযুক্তি এবং অডিও রেকর্ডিং ও থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে। শুধুমাত্র জেলেই নয়,সিবিআই, এনঅাইএ, ইডি, এনসিবি, এবং বাকি তদন্তকারী সংস্থার জন্য প্রযোজ্য এই নির্দেশ।

আরো পড়ুন: সামান্য কয়েকটি ভুলে বিগড়ে যেতে পারে সম্পর্ক, যেই ভুল গুলির জন্য সম্পর্কে তিক্ততা আসতে পারে, জেনে নিন 

সুপ্রিমকোর্টের তরফে এই রায়দানে বলা হয়েছে আগামী দেড় মাসের মধ্যে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বলবৎ করতে হবে এই নির্দেশ। গোটা দেশের সমস্ত জেল এবং জেরা কক্ষে লাগাতেই হবে নাইট ভিশন এবং অডিও রেকর্ডিং এর সুবিধা যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা।

জেলের যেসব স্থানে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা

জেলের বিভিন্ন স্থানে যেমন ঢোকা এবং বেরোনোর পথে, করিডরে, লবিতে, রিসেপশনে, শৌচাগারের বাইরে, ইনস্পেকটর ও সাব-ইনস্পেকটরের ঘরে এবং তাদের শৌচাগারের বাইরে থাকবে সিসিটিভি।

এছাড়াও তদন্তকারী সংস্থার অফিসে এতদিন ছিল সিসিটিভি কিন্তু জেরার কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না, জেরার কক্ষেও সিসিটিভি থাকা গুরুত্বপূর্ণ তাই এবার থেকে তদন্তকারী সংস্থার যে ঘরে জেরা করা হবে সেই ঘরে রাখতে হবে সিসিটিভি। এই সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরায় ১৮ মাসের ঘটনার রেকর্ডিং থাকবে যা পর্যবেক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট প্যানেলও রাখা হবে।

এমন সিদ্ধান্তের পেছনে আছে যে ঘটনা

এমন সিদ্ধান্তের পেছনে প্রধানত আছে তামিলনাড়ুর জেলের ঘটনা। তামিলনাড়ুতে লকডাউনের সময় বিধিভঙ্গ করার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছিলেন জয়রাজ এবং তার ছেলে বেনিকসেরকে। দিনকয়েক পর জানা যায় লকআপেই মৃত্যু হয়েছে তাদের। এই ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ তাদের পরিবারের লোকেরা অভিযোগ তোলে জেলে নির্মম অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে বাবা ও ছেলের। এই ঘটনার পরে সেখানকার পুলিশ প্রধান এবং কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়।
এই ধরনের ঘটনা আরও কোথাও হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্যই প্রয়োজন জেলের সমস্ত ঘটনার রেকর্ড রাখা, সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট।

আরো পড়ুন: করোনার জেরে পিছিয়ে যাচ্ছে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, আগামী বছর মাধ্যমিক শুরু হবে জুন মাসে, তারপর উচ্চমাধ্যমিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *