পিএম মোদী সম্বোধন আইসিসি (ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স)

পিএম মোদী সম্বোধন আইসিসি

সংকটকে সুযোগে পরিণত করতেই হবে তাহলেই আমরা আত্ননির্ভর ভারত তৈরি করতে পারব ,পিএম মোদী সম্বোধন আইসিসি তে বললেন।

৯৫ তম (আইসিসি) বার্ষিক প্লেনারি সেশন ২০২০ এ ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স এর কলকাতা অফিসে ভিডিও কনফারেন্সিং এর দ্বারা ভাষণ দিলেন।তিনি বলেন এটাই সময় এরকম সাহসী  সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং ভারতে  বিনিয়োগের যাতে ভারতকে উচ্চ পর্যায়ে  নিয়ে যাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী আরও বললেন যে জনকেন্দ্রিক, জন-চালিত এবং বিশ্ব- বন্ধুত্বপূর্ণ উন্নয়ন বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনের অংশে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভাষণ

তিনি বলেছেন  কোভিদ-১৯  সংকট আমাদের  জন্য সুযোগে পরিণত হওয়া দরকার  তাহলে আত্ননির্ভর ভারত আমরা বানাতে পারব। বৃহস্পতিবার দিন পিএম মোদী সম্বোধন আইসিসি (ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স) ৯৫ তম বার্ষিক প্লেনারি সেশন ২০২০ এ কলকাতা অফিসে ভিডিও কনফারেন্সিং এ ভাষণ দেওয়ার সময়  জানালেন যে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে  যাতে বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্য দেশে উত্পাদন করা যায়।এটাই সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সময় ভারতে বিনিয়োগের এবং সাহসী  সিদ্ধান্ত নেওয়ার যাতে ভারতকে একটি উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়। 

ভারতের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যটি দেশের নীতি ও অনুশীলনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।কোভিদ ১৯ এর সংকট আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছে  যে কিভাবে সেই পথে প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করা যায়। 

জনকেন্দ্রিক, জন-চালিত এবং বিশ্ব- বন্ধুত্বপূর্ণ উন্নয়ন বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনের অংশে পরিণত হয়েছে । ভারত কোভিদ ১৯ এর সঙ্গে  অন্যান্য  একাধিক চ্যালেঞ্জের সাথে  লড়াই করে চলছে  তার মধ্যে আছেবন্যা,ঘূর্ণিঝড়, পঙ্গপালের আক্রমন, ভূমিকম্প,আসামে  তেলের কুপে আগুন ,আমাদেরকে এসব  সংকটকে সুযোগে পরিণত করতে হবে আত্মনির্ভর ভারত তৈরীর জন্য এবং তার দিকে  বিশেষ নজর রাখতে হবে যাতে বিদেশ থেকে আমদানি পণ্য দেশে উৎপন্ন করা যায়। তাহলে দেশের আর্থিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে একটি স্বনির্ভর ভারত গড়ে উঠবে।

আত্ননির্ভর ভারত

তিনি  আরো বলেছেন যে  আমাদের একজোট  হয়ে কাজ করা এবং আমাদের ইচ্ছাশক্তি আমাদেরকে এসব প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে এড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করছে সমস্যা সমাধানের ওষুধ হচ্ছে  আমাদের   শক্ততা ।তিনি আরো বলেছেন যে  সরকার যেগুলো পরিকল্পনা নিয়েছে তার সাথে এগিয়ে গেলে  পূর্ব এবং  পূর্বোত্তরেররাজ্যগুলো  অনেক উপকার লাভ করবে। পূর্ব এবং পূর্বোত্তরের  রাজ্যগুলোর কে অর্গানিক ফার্মিংয়ের যদি ব্যবস্থা করা যায় তাহলে পুরো বিশ্বের বাজারে অর্গানিক ফার্মিং নিয়ে বিশাল বাজার তৈরি করা যাবে।

তিনি আরো বলেছেন গত ৪-৫ বছর ধরে সম্প্রদায়, পৃথিবী এবং  মুনাফা তেও  সরকার কাজ করেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে লাভ করেছে ।জলপথের  বিস্তৃতি করা হচ্ছে  যাতে  পূর্বোত্তরের রাজ্যগুলোতে  জলপথে জিনিস পৌঁছানো যায় এবং প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য জুটের ব্যাগ তৈরি করা হচ্ছে।

এবং আরো কিছু  উন্নয়নের পরিকল্পনা কথা বললেন মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল ব্যাংকিং যেখানে কোন কন্টাক্ট ছাড়াই টাকা পাঠানো যায় এবং যেটি এই কোরোনা ভাইরাস মহামারির কালে  অনেক লাভ প্রদান করেছে। রূপে কার্ড  কে  ব্যবহার করার জন্য প্রেরণা দিলেন। তিনি  জনগণকে  প্রেরণা দিয়ে বলেন  যে আত্ননির্ভর ভারত তৈরীর পরিকল্পনা অনেকদিন ধরে শুরু হয়ে গেছে । বললেন যে আত্মনির্ভর ভারতের মূলমন্ত্র হচ্ছে আত্নবিশ্বাসী ভারতীয় । এবং তাদের এই বিশ্বাসের দাঁড়ায়  এগিয়ে যেতে হবে।

উনার ভাষণ শেষে সবার সুস্থ থাকার এবং সবল থাকার  প্রার্থনা জানালেন।সর্বশেষে বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর কাউন্সিলের একজন প্রাক্তন সদস্য সঞ্জীব গোয়েঙ্কা প্রধানমন্ত্রী কে ধন্যবাদ জানালেন ভারতকে একটি নুতন দিক, মার্গ এবং নতুন  দিশার দিকে  নিয়ে যাওয়ার জন্য  এবং নতুন পথ দেখানোর জন্য  তার কারণে আজ কোটি কোটি ভারতবাসী পুরো বিশ্বের মধ্যে নিজের মাথা উঁচু করে কাজ করতে পারছেন এবং তিনি প্রমিস করলেন যে ভারতকে আরও উন্নতি পর্যায়ে নিয়ে যাবেন  এবং প্রধানমন্ত্রীকে তার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানালেন

আরো পড়ুন,অমিত সাহা মমতা ব্যানার্জির উপর  বাংলার অরাজকতা নিয়ে নিশানা করলেন

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *