করোনা আবহে এবছর শান্তিনিকেতনে বন্ধ থাকবে পৌষমেলা, তবে পৌষ উৎসব হবে  

করোনা আবহে এবছর শান্তিনিকেতনে বন্ধ থাকবে পৌষমেলা, তবে পৌষ উৎসব হবে

সোমবার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় করোনা আবহে এবছর বন্ধ থাকবে পৌষমেলা ,পৌষমেলা বন্ধ থাকলে বিধিনিষেধ মেনে পৌষ উৎসব পালন করা হবে।

করোনা আবহে এবছর শান্তিনিকেতনে বন্ধ থাকবে পৌষমেলা, পৌষ উৎসব হবে।১৮৯৪ সাল থেকে ধারাবাহিক ভাবে পালিত হয়ে আসছে পৌষ মেলা। ১২৬ বছরে ২ বার মেলা বন্ধ থাকলেও পৌষ উৎসব বন্ধ থাকেনি।

করোনা আবহে এবছর শান্তিনিকেতনে বন্ধ থাকবে পৌষমেলা, পৌষ উৎসব হবে। আগেই ভাবা হচ্ছিল এবছর কোভিডের কারণে বন্ধ থাকতে পারে পৌষমেলা, সোমবার তেমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বিশ্বভারতীর কোর্ট সদস্যের ভার্চুয়াল বৈঠকে। এদিন ৭০ জন সদস্যের উপস্থিতিতে এই বৈঠক হয় যেখানে বেশিরভাগ সদস্যের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবছর করোনার জেরে বন্ধ থাকবে পৌষমেলা, তবে সমস্ত বিধি নিষেধ মেনেই সামান্য কয়েকজনের উপস্থিতিতে বিশ্বভারতীতে পৌষ উৎসব পালন করা হবে।

আরো পড়ুন: স্মৃতিশক্তি বাড়াতে যে খাবারগুলি অবশ্যই খাবেন

পৌষ উৎসব পালিত হয় ৭ই পৌষ, আশ্রমের ভেতরে ছাতিমতলার উপাসনা , আশ্রম বন্ধুদের শ্রাদ্ধবাসর, বৈতালিক, খ্রিষ্টোৎসব এইসব নিয়েই প্রতিবছর পালন করা হয় পৌষ উৎসব। করোনা আবহে এবছরও এসব কিছু বন্ধ হবে না। তবে সমস্তটাই হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী,  সাংসদ সুদীপ মুখোপাধ্যায়, সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, প্রাক্তন বিচারপতি শখারাম সিং যাদব, সঞ্জয় বুধিয়া প্রমুখ।

এদিন বৈঠকে বিশ্বভারতীর বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় জানান ১৮৯১ সালের ৭ই পৌষ উপাসনা মন্দির স্থাপিত হয় এবং মহর্ষির দীক্ষা দিবস উপলক্ষে সেদিন উপাসনার মধ্যে দিয়ে পৌষ উৎসবের সূচনা হয়, যা ১৮৯৪ সাল থেকে ধারাবাহিক ভাবে পালিত হয়ে আসছে। ১২৬ বছর ধরে আয়োজিত হওয়া পৌষমেলা মোট দুবার বন্ধ থেকেছে, একবার ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষের কারণে এবং ১৯৪৬ সালে দাঙ্গার কারণে। তবে সেই বছর গুলিতেও পৌষ উৎসব হয়েছে জানান মানবেন্দ্রবাবু।

অগস্ট মাসে মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া হয় যা ঘিরে বিক্ষোভ হয় এবং ভেঙে ফেলা হয় পাঁচিল, কর্তৃপক্ষের কড়া মনোভাব দেখে তখনই অনুমান করেছিলেন এবছর বন্ধ থাকবে পৌষমেলা, সিদ্ধান্তের পর এমনটাই মত  বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির।

উল্লেখ্য গত অক্টোবরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উওয়াচার্য সহ আরও কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হলে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার কোভিড পরিস্থিতির কথা ভেবে মেলা বন্ধের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে আশ্রমিক এবং পড়ুয়ারা৷

আরো পড়ুন: বিয়ে বাড়িতেও মাস্ক পরা আবশ্যিক, নইলে জরিমানা, করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে কড়া পদক্ষেপ গুরুগ্রামে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *