দিওয়ালিতে এবছর রেকর্ড সংখ্যক বিক্রি দেশীয় পণ্য, চিনা পণ্য বয়কটে চিনে ক্ষতি ৪০ হাজার কোটি টাকা। লাইটিং হোক বা পোশাক, উপহার হোক বা খেলনা সবই এবছর দেশি পণ্য বিক্রি হয়েছে।
দিওয়ালিতে এবছর রেকর্ড সংখ্যক বিক্রি দেশীয় পণ্য, এবছর দিওয়ালিতে ব্যবহার হয়নি কোনও চিনা পণ্য। দেশে তৈরী প্রদীপ, লাইট, মোমবাতি, এছাড়াও মাটির তৈরী নানা জিনিস এসব দিয়েই আলোকিত হয়েছে আলোর উৎসব। দিওয়ালির উৎসবের বাজারে তেমন ভাবে এবছর দেখা মেলেনি চিনা পণ্যের কারণ দেশবাসী আগে থেকেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল চিনা পণ্য নয় দেশীয় পণ্য কেনা বেচার প্রতি।ব্যবসায়ীরা এবছর খুশি কারণ করোনা কালেও ব্যাবসায়ীদের প্রচুর বিক্রি হয়েছে, কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) জানিয়েছে এই কথা।
লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনার উপর হামলার পর থেকে চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক উঠেছে, ক্রমশ খারাপ হয়েছে ভারত-চিন সম্পর্ক।১০০টিরও বেশি চিনা অ্যাপ সেসময় নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। আত্মনির্ভরশীল ভারত গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়। CAIT তরফেও এবছর চিনা পণ্য বিক্রি বয়কটের কথা জানানো হয়েছিল।
আরো পড়ুন: করোনায় আক্রান্তের শীর্ষে আমেরিকা, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ কোটি।
দিওয়ালিতে প্রতিবছর আলোয় বাড়ি সাজাতে মূলত চিনা লাইটিং, বাল্ব এসবই বেশি দেখা যেত। বিভিন্ন রঙ এর যে আকর্ষণীয় লাইটিং এতদিন বিক্রি হত তার বেশিরভাগই ছিল চিনা প্রোডাক্ট। তবে সেই চেনা ছবি কিন্তু এবছর দেখা যায়নি।দিওয়ালিতে এবছর চিনা পণ্যের পরিবর্তে দেশীয় পণ্য কিনেছে ক্রেতারা। অনেক ব্যবসায়ীরাই ভেবেছিলেন এবছর হয়তো তেমন বিক্রি হবেনা তবে তা একেবারেই হয়নি বরং এবছর ব্যবসায়ীদের অনেক বেশি বিক্রি হয়েছে।
কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদ, নাগপুর, রায়পুর, আহমেদাবাদ, কোচি, জয়পুর, রাঁচি, ভোপাল, নয়ডা, লখনউ, জম্মু, চণ্ডীগড় সহ ৫ টি অর্থাৎ মোট ২০টি শহর থেকে যে হিসেব উঠে এসেছে তাতে দিওয়ালিতে এবছর বিক্রেতারা প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করেছেন।
ভারতের ব্যবসায়ীদের এবছর রেকর্ড সংখ্যক বিক্রি হয়েছে অপরদিকে চিনে এর ফলে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। ভারতীয় বাজারে যেহারে চিনা পণ্য বিক্রি হত সেখানে এবছর এমন হবে তা স্বপ্নেও ভাবেনি চিন।
দীপাবলি মানেই উৎসবের আনন্দ, উপহার দেওয়া, আলো দিয়ে বাড়ি সাজানো, প্রতিবছরই দীপাবলিতে ইলেকট্রনিক এর নানা প্রোডাক্ট, গিফ্ট, খেলনা,পোশাক, গয়না, মিষ্টি ইত্যাদির বিক্রি এইসময় সারাবছরের তুলনায় অনেক বেশি হয়।তবে এবছরটা প্রতিবছরের তুলনায় আলাদা, করোনার জেরে এবছর ব্যবসায়ীদের প্রচুর লোকসান হয়েছে। তাই দীপাবলিতে যে এত বিক্রি হবে তা ভাবেননি বিক্রেতারা। স্বভাবতই বিক্রি বেশি হওয়ায় খুশি বিক্রেতারা।
আরো পড়ুন: বিগ বসের সম্পত্তি ভেঙে ঘরে ঢোকার হুমকি দিল উত্তেজিত আলি গোনি
প্রত্যেক বছরই আমরা অনেকেই জীবন বীমা পলিসি কথা শুনে থাকি অথবা আয়কর রিটার্নর সময় ভাবতে … Read More
বিয়ে হয়েছে মাত্র কিছুদিন আগে তারপরেই গর্ভবতী রিচা চাড্ডা, দিওয়ালি লুক দেখে অনেকে সন্দেহ করছে।… Read More
শুভশ্রী গাঙ্গুলী দ্বিতীয়বার প্রেগনেন্ট আপনি যদি প্রতিনিয়তই টলিউড কে ফলো করে থাকেন তাহলে শুভশ্রী গাঙ্গুলী… Read More
আপনি বোধহয় শুনলে অবাক হবেন চলচ্চিত্রে পশু শিল্পীরা যা রোজগার করে তা অনেক বড় বড়… Read More
আপনাদের হয়তো অনেকেরই জানা নেই ঋষি সুনক এর আসল পরিচয়। তিনি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই… Read More
মডেলিং এর সাথে ছোট পর্দায় কাজ করতে করতে বড় পর্দায় নামকরা অভিনেত্রী হয়ে উঠলেন কিন্তু… Read More