ঘটনাটি কলম্বিয়ার মন্টেরি এলাকার এক স্কুলের। বুদ্ধিমান কুকুরটির নাম নেগ্রো। কুকুরের বুদ্ধি দেখে চোখে জল এসেছিল সকলের, ক্যান্টিনে নিজস্ব কারেন্সি দিয়ে বিস্কুট কিনে খায় সে! একদম ছোট্ট থেকে কলম্বিয়ার মন্টেরি এলাকার এক স্কুলেই থাকে নেগ্রো।পাতাকে টাকা বানিয়ে ক্যান্টিনে গিয়ে বিস্কুট কেনে নেগ্রো, দয়া নয় সম্মান চায় নেগ্রো। শাসক করে ছাত্র ছাত্রীদের।
কুকুরের বুদ্ধি দেখে চোখে জল এসেছিল সকলের, ক্যান্টিনে নিজস্ব কারেন্সি দিয়ে বিস্কুট কিনে খায় সে! যখন মাত্র কয়েক মাস বয়েস, তখন তাকে দত্তক নিয়েছিল কলম্বিয়ার মন্টেরি এলাকার Instituto Educativo Tecnico diversificado de monterrey casenare স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
সেই ছোট্ট কুকুরটির নাম দেওয়া হয়েছিল নেগ্রো, তাকে কোনও দিন আবদ্ধ রাখা হয়নি, স্কুলের বিশাল ক্যাম্পাস জুড়েই ছিল তার রাজত্ব। ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা সকলেরই আদরের হয়ে উঠেছিল নেগ্রো। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে নিয়মিত পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতেন, পুষ্টিকর খাওয়ার খাওয়াতেন৷ ফলে শারীরিক বৃদ্ধির পাশাপাশি বুদ্ধিতেও বিকশিত হতে থাকল নেগ্রো।
ক্যাম্পাসের ছাত্রছাত্রীদের অনুশাসনের মধ্যে বেধে রেখেছিল নেগ্রো, দীর্ঘ সময় ক্লাসের বাইরে থাকা হোক বা ঘন্টা পড়ার পর ক্লাসের বাইরে থাকা, অথবা ঝগড়া করা এসব হতে দেখলেই নেগ্রো রাগে এমন চিৎকার করত যে শিক্ষক শিক্ষিকা রা সহজেই বুঝে যেত কেউ কোনো ভুল করেছে। ক্যাম্পাসের নজরদারি করত নেগ্রো এমনকি তার কথা না শুনে যদি কেউ অবাধ্যতা করত তৎক্ষনাত প্রিন্সিপালের ঘরে চলে যেতেন নেগ্রো।
তবে পাঁচ বছর আগে বুদ্ধিমান নেগ্রোর মাথায় এমন এক বুদ্ধি আসে যা দেখে অবাক হয়ে যান সকলেই। নেগ্রো লক্ষ করেছিল ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনে সকলেই যখন কিছু খায় তখন একটা পাতলা এবং লম্বা জিনিস দেয় অর্থাৎ টাকা৷ কিন্তু সে কি দিতে পারে এই ভাবনা এসেছিল নেগ্রোর মনে, একদিন গাছের একটি পাতা মুখে নিয়ে নেগ্রো হাজির হয় ক্যান্টিনে। ক্যাশিয়ারের কাউন্টারে পা তুলে লেজ নাড়িয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল সে টাকা নিয়ে এসেছে এবার তাকে তার পছন্দের বিস্কুট দেওয়া হোক।
ক্যান্টিনের সকল কর্মীরাই হতবাক হয়ে যান নেগ্রোর এই কান্ড দেখে। ক্যাশিটার নেগ্রোর দেওয়া পাতা ক্যাশবাক্সে রাখার পর নেগ্রো পেয়েছিল তার পছন্দের বিস্কুট। যদি প্ল্যানে সফল হওয়ার পর একাধিক বার নেগ্রো ক্যান্টিনে যেত কিন্তু তাঁর শরীরের কথা মাথায় রেখে কতৃপক্ষ নেগ্রোকে দিনে দুটোর বেশি বিস্কুট দিতে নিষেধ করে।
নেগ্রোকে ছাত্র ছাত্রীরা বিস্কুট থেকে একাধিক খাবার দিলেও আত্ম সম্মানী নেগ্রো কিন্তু ছোট ছোট পড়ুয়াদের চাইতে নিজস্ব কারেন্সি দিয়ে বিস্কুট খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। প্রথম যেদিন ক্যান্টিনে গিয়ে মুখে পাতা নিয়ে বিস্কুট কিনতে হাজির হয়েছিক নেগ্রো সেদিন ওই দৃশ্য দেখে সকলের চোখে জল এসেছিল, দয়া নয় বরং সম্মান চায় নেগ্রো, জানিয়েছেন স্কুলের এক শিক্ষিকা আঞ্জেলা গার্সিয়া।
প্রত্যেক বছরই আমরা অনেকেই জীবন বীমা পলিসি কথা শুনে থাকি অথবা আয়কর রিটার্নর সময় ভাবতে … Read More
বিয়ে হয়েছে মাত্র কিছুদিন আগে তারপরেই গর্ভবতী রিচা চাড্ডা, দিওয়ালি লুক দেখে অনেকে সন্দেহ করছে।… Read More
শুভশ্রী গাঙ্গুলী দ্বিতীয়বার প্রেগনেন্ট আপনি যদি প্রতিনিয়তই টলিউড কে ফলো করে থাকেন তাহলে শুভশ্রী গাঙ্গুলী… Read More
আপনি বোধহয় শুনলে অবাক হবেন চলচ্চিত্রে পশু শিল্পীরা যা রোজগার করে তা অনেক বড় বড়… Read More
আপনাদের হয়তো অনেকেরই জানা নেই ঋষি সুনক এর আসল পরিচয়। তিনি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই… Read More
মডেলিং এর সাথে ছোট পর্দায় কাজ করতে করতে বড় পর্দায় নামকরা অভিনেত্রী হয়ে উঠলেন কিন্তু… Read More