ভোটের পূর্বে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় বাংলার সব পরিবার

 ভোটের পূর্বে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় বাংলার সব পরিবার

এবার আরও প্রচুর পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের ব্যবস্থা নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ,স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক পরিবার চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমা পাবেন। ভোটের পূর্বে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বহু পরিবার৷ এই জন্য প্রতিবছর অতিরিক্ত ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে সরকারের।

ভোটের পূর্বে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা যাতে সবাই পায় এবার সেই ব্যবস্থাই করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্য প্রকল্প চালু আছে তবে সেই প্রকল্পের সুবিধা পরিসর এবার আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার হওয়া সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের সাড়ে সাত কোটি পরিবারের পর এবার আরও আড়াই কোটি মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাদের স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ নেই তারা পাবেন এই প্রকল্পের সুবিধা, যেখানে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধা দেওয়া হবে পরিবারের গৃহকর্ত্রীর নামে। সেই সুবিধা পরিবারের সকলেই পাবেন।
পরিবারের প্রত্যেকের জন্য আলাদা করে ৫ লক্ষ টাকা নয় বরং পুরো পরিবারের জন্য মোট ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তবে চাইলে সেই টাকা পরিবারের কোনো একজন বা দুজনের চিকিৎসাতেও পুরো চিকিৎসার টাকা অর্থাৎ ৫ লক্ষ টাকার সুবিধা পাওয়া যাবে।

আরো পড়ুন: 399 টাকার ধামাকা পোস্টপেইড প্ল্যানে এগিয়ে জিও

শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালেই নয়, দেড় হাজার বেসরকারি হাসপাতালেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এতদিন যারা কোনো স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ পাননি সেই সমস্ত রিকশাওয়ালারা, টোটোওয়ালারা, ইটভাটা কর্মী থেকে ড্রাইভারেরাও এবার এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

বাংলার ছাত্র, যুব, হিন্দু , মুসলিম দলিত, আদিবাসী, সকলকেই স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আনা হবে। এই কার্ডের জন্য ১ ডিসেম্বর থেকে দুয়ারে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেনিং এ আবেদন করলে, সময় মতো বাড়িতে কার্ড পৌঁছে যাবে। বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রকল্প একটি দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি রাজ্যগুলো যদি চায় তবে তারাও এই পদক্ষেপ নিতে পারে তবে এই প্রকল্পের জন্য প্রতিবছরে সরকারের অতিরিক্ত ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্পকে বিরোধী দলনেতারা ভোটের প্রচার হিসেবেই মনে করছেন। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মিথ্যাচারের এভারেস্ট এ উঠে গেছেন। কেন্দ্রের তরফে চালু করা সার্বজনীন স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা, যা বছর দুয়েক আগেই চালু হয়ে গেছিল তা সেসময় আটকে রেখে বাংলার মানুষকে দুবছর ধরে বঞ্চিত করে এখন ভোটের আগে নিরুপায় হয়ে ভোট প্রচারের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করছেন।

এক প্রকল্পের বাস্তবায়নে প্রচুর অসহায় মানুষের সাহায্য হবে নিঃসন্দেহে, তবে অনেকেই এই ঘটনাকে শুধু মাত্র জনসংযোগ বাড়িয়ে ভোট জেতার কৌশল হিসেবেই দেখছেন।

আরো পড়ুন: সশস্ত্র সীমা বল (SSB) এ ১,৫২২ টি শূন্যপদে নিয়োগ , আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *