Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আগের দিন বাড়ি ফিরলেন ‘মৃত’! হাসপাতাল থেকে মৃত জানানোর পর উঠে আসে সত্যি, ঘটনাটি ঘটেছে বিরাটিতে।
শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আগের দিন বাড়ি এলেন ‘মৃত’, শোকার্ত পরিবারে নেমে এল খুশির আমেজ। বাড়ির লোকেরা যখন শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের কাজে ব্যস্ত সেই সময় জানা যায় বাড়ির কর্তা সুস্থ আছেন, ফিরছেন বাড়ি।
শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আগের দিন বাড়ি এলেন ‘মৃত’, শোকার্ত পরিবারে নেমে এল খুশির আমেজ। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের জন্য একে একে আত্মীয়রাও এসে পৌঁছেছেন, বাড়িতে সাদা কাপড়ের প্যন্ডেলও হয়ে গেছে, পরিবারের লোকেরা কঠিন সত্যি মেনে নিয়েছেন, কষ্ট নিয়েই শ্রাদ্ধের সমস্ত জোগাড়ে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময় বারাসাতের জি এন আর সি হাসপাতাল থেকে ফোন আসে, বলা হয় রোগী সুস্থ হয়ে গেছে, তাকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সে। বাড়ির কর্তা ভর্তি ছিলেন ওই হাসপাতালে। ফোন রাখতেই
কি শুনলেন বুঝে উঠতে পারেনি ব্যানার্জি পরিবার।
যাকে হারিয়ে ফেলার কষ্ট মনে নিয়ে শ্রাদ্ধ্যের অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছিলেন সে বেঁচে আছে, সুস্থ আছে, বাড়ি ফিরছে একথা শুনে আনন্দ আনন্দে কেঁদে ফেলে পরিবারের সদস্যরা।
বাবার সৎকার করে সমস্ত নিয়ম মেনে বাবার শ্রাদ্ধ্যের কাজের আয়োজন করছিল ছেলে, বাবাকে আর কখনও দেখতে না পারার যন্ত্রণা বুকে নিয়ে এক একটা দিন কাটাচ্ছিলেন ছেলে, ফিরে এসেছেন বাবা, চোখের সামন বাবাকে দেখে চোখের জলে হাসির আনন্দ ফুটে উঠেছে ব্যানার্জি পরিবারের। কিছুতেই তারা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না এটা সত্যি।
১১ নভেম্বর বারাসাতের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিবনাথ ব্যানার্জিকে। ১৩ নভেম্বর জানানো হয় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। করোনা বিধি মেনে পরিবারকে দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। দূর হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে দাহ করা হয়।
এর পাশাপাশি আরেকটি ঘটনাও এর সাথে যুক্ত। যেখানে মোহিনী মোহন গোস্বামী নামক এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, ভর্তির পর থেকেই হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, তাদের রোগীর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। নিয়নিত রোগীর পরিবারকে জানানো হয় রোগী ভালো হচ্ছে। পরিবারের লোকেরা ভেবেছিল খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন মোহিনি মোহন গোস্বামী।
তবে শুক্রবার দুটি ঘটনা একেবারে গোলমেলে হয়ে যায় যখন হাসপাতাল থেকে গোস্বামী পরিবারে ফোন করে বলা হয় রোগী সুস্থ হয়ে গেছেন, তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানো হয়, এরপর রোগী অ্যাম্বুলেন্সের চালককে জানান বিরাটি যাবেন , অপরদিকে গোস্বামী পরিবার জানান পলতা যাবেন। তখনই তারা লক্ষ্য করেন এ তো তাদের রোগী নন। সাথে সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথায় উঠে আসে আসল ঘটনা। জানা যায় ১৩ নভেম্বর মারা গেছেন মোহিনী মোহন গোস্বামী। কিন্তু হাসপাতাল কতৃপক্ষ মোহিনী মোহন গোস্বামীর জায়গায় মৃত বলেছিলেন শিবনাথ বাবুকে।
ঘটনাটি যাতে প্রকাশ্যে না আসে সেই জন্য দুই পরিবারকে অনেক চাপ দেওয়া হয়েছিল।কিন্তু তারা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনলে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এমন গুরুতর বিভ্রাটের জেরে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।