৮ ডিসেম্বর ভারত বন্ধের ডাক দিল কৃষক সংগঠন,আজ তৃতীয় দফায় বৈঠক

 ৮ ডিসেম্বর ভারত বন্ধের ডাক দিল কৃষক সংগঠন,আজ তৃতীয় দফায় বৈঠক

মঙ্গলবার দিল্লির সব রাস্তা ছাড়াও গোটা দেশ জুড়ে বনধের ডাক দিল কৃষকরা ,কৃষকরা জানিয়েছেন তারা টোল আদায় করতে দেবেন না সেদিন।

৮ ডিসেম্বর ভারত বন্ধের ডাক দিল কৃষক সংগঠন, আজ তৃতীয় দফায় বৈঠক। দুদফায় বৈঠকের পরেও হয়নি সুরাহা। শনিবার দু’পক্ষ তৃতীয়বার বৈঠকে বসবে। আন্দোলন যে দীর্ঘ হবে তা আগেই বুঝেছিলেন তারা এবং সেই মতো প্রস্তুতি নিয়েই তারা দিল্লিতে এসেছেন।

৮ ডিসেম্বর ভারত বন্ধের ডাক দিল কৃষক সংগঠন, আজ তৃতীয় দফায় বৈঠক। কেন্দ্রের সাথে দুবার বৈঠকে বসেও কোনও সুরাহা না হওয়ায় তৃতীয় দফায় দু’পক্ষের বৈঠক বসছে শনিবার। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন অব্যাহত।এবার ৮ ডিসেম্বর কৃষকরা দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে আইন প্রত্যাহার করুক দাবি কৃষকদের। শুধু বনধ নয় পাশাপাশি ৮ তারিখ দিল্লির সব রাস্তা বন্ধ করে টোল আদায়ও বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছেন কৃষকরা।

আরো পড়ুন: রাজ্যের প্রায় সাড়ে নয় লক্ষ পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

তাঁরা জানিয়েছেন বনধের সময় হাইওয়ের টোল গেট বন্ধ করে দেবেন, সরকারকে যাতে টোল আদায় না করতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষকদের পাশে বহু মানুষ যে অংশ নেবে তাও জানিয়েছেন কৃষকনেতা হরিন্দর সিং লাখোয়াল। শনিবার যতই কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক হোক, তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁরা অটল থাকবে একথা জানিয়ে দিয়েছেন কৃষক নেতারা।

কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এর আগে ১ ডিসেম্বর কৃষক নেতাদের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন, সেই বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন কৃষকদের, যা কিছুতেই মানেননি কৃষকরা। ওই বৈঠকে কোনও সুরাহা না হওয়ায় এরপর বুধবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী পরিস্থিতির নিয়ে আলোচনায় অমিত শাহের বাসভবনে গিয়েছিলেন।সেখানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও। কৃষক আন্দোলনের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বৈঠক করেন অমিত শাহের সঙ্গে। তিনি আবেদন করেন যাতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে কৃষকদের সাথে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করা হয়।

শনিবার কৃষক আন্দোলনের দশম দিনে তৃতীয় দফায় বৈঠকের আগে কৃষক নেতারা বলেছেন ,আন্দোলন যে দীর্ঘ হবে তা আগেই বুঝেছিলেন তারা এবং সেই মতো প্রস্তুতি নিয়েই তারা দিল্লিতে এসেছেন। যতক্ষণ না কৃষক স্বার্থবিরোধী তিনটি আইন প্রত্যাহার করা হবে ততক্ষণ কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, এই সিদ্ধান্তে তারা অবিচল। বিশেষ সংসদ অধিবেশন ডেকে নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার ছাড়া কৃষকদের আন্দোলন থেকে সরানো যাবে না। শুক্রবার কৃষকদের সাথে ফোনে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

আরো পড়ুন: শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, করোনা পরিস্থিতি এবং টিকা নিয়ে আলোচনা মুখ্য উদ্দেশ্য  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *