করোনা ভাইরাস মহামারীর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য কোন দেশ জয়ী হবে তার প্রতিযোগিতা চলছে

করোনা ভাইরাস মহামারীর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য কোন দেশ জয়ী হবে তার প্রতিযোগিতা চলছে

 যখন উনিশশ একষট্টি সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম মানুষ কে অন্তরীক্ষে এ পাঠিয়েছিল তখনও আমেরিকার আত্মবিশ্বাস এ আঘাত হয়েছিল । যদি চীন করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়ে যায় তাহলে আমেরিকার সম্মানে আঘাত হবে । আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প উনার সমস্ত ক্ষমতা দিয়ে ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিগুলো কাজকর্ম দ্রুত গতিতে বাড়িয়ে দিয়েছে এবং তার জন্য গভারমেন্ট এজেন্সি এবং মিলিটারিদের সঙ্গে পরামর্শ  করছেন । সেদিকে চীন ও  আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে ট্রেড থেকে ফাইভ-জি কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক  পর্যন্ত সবকিছুই  প্রভাবিত হচ্ছে ।

করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন আবিষ্কারের এতটাও দ্রুত প্রয়োজন পড়তো না যেহেতু কিছু মাসের মধ্যেই এই মহামারী প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে দিয়েছে ।

যেখানে অনেক দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার কথা বলছে সেখানে ইতিহাসের  মতে ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট গভমেন্ট কে আয়ত্তে  নেওয়ার চেষ্টা করবে  শুধুমাত্র ওর কার্যকারিতা বাড়িয়ে  নয়  গোটা বিশ্বের  ইনফ্লুয়েন্স এবং টেকনোলজিক্যাল পরাক্রমের বৈধতা নির্ধারিত করবে । আর সেখানে গভর্মেন্ট যদি বেইজিংয়ের হয় তাহলে সেটা  ততটাই নাটকীয় হবে যেমনটা উরি গ্যাগারিন এর ষাট বছর আগে কক্ষপথের ঘোড়া ।

যেখানে ইউএস এবং চীনের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে  সেখানে ইউএসএ চিন্তা যদি  চীন করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলে  তাহলে চীন সেটা ভূ-রাজনৈতিক অস্ত্রের মতো ব্যবহার করবে ।

ইউ এস এবং চীন করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে একে অপরকে হুমকি দিয়ে চলছে সেখানে কোন ব্যক্তি নেই আজ পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবিষ্কার করা যায়নি বিজ্ঞানীরাও বলছে এটা কোন নিশ্চিত নয় যে এটি কত দিনে আবিষ্কার করা যাবে । সুতরাং বলা যায় এবছরের শেষ অব্দি কিছু আবিষ্কারের সম্ভাবনা থাকতে পারে ।

ইউএস ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে যে ওরা নিজেদের নাগরিককে বাঁচানোর প্রথম চেষ্টা করবে । ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স মঙ্গলবার দিন এ জানালেন  ইউ এস  ভ্যাকসিন শুধু ইউএস এর মানুষের জন্যই ডেভলপ করছে । অ্যাডমিনিস্ট্রেশন  টার্গেট করছে অন্তত তিনশত মিলিয়ন মাত্রায় জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক দেশের টিকা করনের জন্য যথেষ্ট হবে।

চীনের রিসার্চ প্রসেস আরো উন্নত হয়ে গেছে যেখানে পাঁচশ আট জন ভলান্টিয়ার জয়েন করেছে । সেকেন্ড ফেজ এ ভ্যাকসিন টেস্ট করার জন্য যেখানে চীনের একাডেমী এবং মিলিটারি মেডিকেল সাইন্স টিয়াঞ্জিন এর ক্যানসিনো বায়োলজিক্স কোম্পানির সঙ্গে মিলে  ভ্যাকসিন  আবিষ্কার করছে. ভ্যাকসিনের পরীক্ষার খবরে মাসের মধ্যেই জানা যাবে ।

 ইতিমধ্যে রাশিয়ার  চারটে ভ্যাকসিন প্রজেক্ট  নিয়ে গবেষণা চলছে , তারমধ্যে নভোসিবিরস্ক ভেক্টর , একটি লাইব্রেরী যে সোভিয়েত জৈব-অস্ত্র  প্রোগ্রামে কাজ করেছে. রাশিয়া লক্ষ হচ্ছে নিজের নাগরিকদের রক্ষা করা যাতে  ওদের পার্শ্ববর্তী  প্রতিদ্বন্দ্বীদের উপর ভরসা করতে না হয় ।

অন্যদিকে ইউকে বলছে যদি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সঙ্গে প্রবেশ করা প্রজেক্ট সাকসেসফুল হয়ে যায় তাহলে ব্রিটেন ফ্রন্ট লাইনে থাকবে ।

“এই মহামারী পুরো বিশ্বের চ্যালেঞ্জ সেখানে পুরো  বিশ্বকে এবার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে” জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা  মার্কেল  বললেন  G-20 ভিডিও কনফারেন্সে যারা ।

কিন্তু অতীতের এক্সপেরিয়েন্স খুব একটা ভালো ছিল না যে যখন দুই হাজার নয় সালে এইচ 1 এন 1 এপিডেমিকএর সময় গভমেন্ট সবাইকে আদেশ দিয়েছিল একে অপরের সঙ্গে মিলে ভ্যাকসিন ডেভলপ করার এবং ডিস্ট্রিবিউট করার  কিন্তু যখন ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা হলো তখন সেই  দেশগুলো ভ্যাকসিন মজুদ করে রাখে যাতে  সেই দেশের মানুষের টিকাকরণের কোন অসুবিধা না হয়।

লেহন বলেছেন “বিল গেটস বললেন এটি ওয়ার্ল্ড ওয়ার মত যেখানে আমরা সবাই এক সাইডে আছি “। “এটার এমন কোনো প্রমাণ নেই “।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *